চন্দ্রযান তিন কিভাবে চাঁদে অভিযান চলবে ও কিভাবে খবর আদান প্রদান করবে।

chandrayaan 3

আজকের নিবন্ধে আপনারা জানবেন চন্দ্রযান 3 বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে ও Chandrayaan 3 live Update এবং live location সম্পর্কে জানবেন। এছাড়ও জানবেন চন্দ্রযান 3 লঞ্চ ডেট ও চন্দ্রজান 3 চাঁদে যেতে কত সময় লাগবে বিভিন্ন বিষয় বিস্তারিত ভাবে জানবেন।

চন্দ্রযান 3 তে  বিক্রম নামে একটি ল্যান্ডার রয়েছে এছাড়ও চন্দ্রযান 2 এর মতো প্রজ্ঞান নামে একটি রোভার রয়েছে, কিন্তু এগুলির মধ্যে কোনও অরবিটার নেই। চন্দ্রযান 3 স্যাটেলাইটের মতো ব্য়াবহার করে। চন্দ্রযান 3 প্রপালসন মডিউল ল্যান্ডার ব্য়াবহার করে এবং রোভার কনফিগারেসন বহন করে যতক্ষণ না মহাকাশযানটি 100 কিলোমিটার চন্দ্র কক্ষপথে থাকে।

চন্দ্রযান 3 বিস্তারিত - Chandrayaan 3 Update Live Location Today:

দুনিয়া জুড়ে আলাদা আলাদা দেশ বিকাশের অগ্রগতিতে এগিয়ে চলেছে। আপন আপন দেশ এই বিকাশে সেই দেশের সমর্থ অনুযায়ী যোগদান করছে। Indian Space Research Organisation (ISRO) ও এই বিকাশের দিকে এগিয়ে চলেছে। এই বিকাশ কে কেন্দ্র করে 14 জুলাই 2023 দুপুর 2:35 মিনিটে চন্দ্রযান 3 পাঠানো হয় চাঁদের উদ্দেশ্যে।

চন্দ্রযান 3 মিশনের মূল উদ্দেশ্য হল ল্যান্ডার টিকে সফট লান্ডিং করানো। অর্থাৎ সফট লান্ডিং মানে  ল্যান্ডারটিকে সঠিক ভাবে ধীরে ধীরে চাঁদের মাটিতে ল্যান্ড করানো। কারণ ভারত এর আগেও চন্দ্রযান 2 সফট লান্ডিং করতে সক্ষম হয়নি। ল্যান্ড করানোর 15 মিনিট আগেই ল্যান্ডারের সঙ্গে ISRO এর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে চন্দ্রযান 2 মিশন বার্থ হয়ে যায়।
 
আপনারা সকলেই জানেন চন্দ্রযান 2 মিশন বার্থ হয়ে গেলে সেই সময় ISRO এর চেয়ারমান হাউমাউ করে কান্না করতে থাকে এবং প্রধানমন্ত্রী তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে সান্তনা দেয়। কিন্তু সেদিনের বার্থতাকে ভুলে গিয়ে 4 বছর পর আবার নতুন করে চন্দ্রযান 3 মিশন পাঠানো হয়েছে।

সেই জন্য এবারের প্রধান উদ্দেশ্য হল চন্দ্রযান 3 কে সফট লান্ডিং করানো। সহজ ভাবে বলতে গেলে চন্দ্রযান 3 এর ল্যান্ডার টিকে এমন ভাবে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করানো হবে যাতে ল্যান্ডারটির কোনও রকম ক্ষতি না হয়।  

ভারতের পাঠানো এই চন্দ্রযান 3 মিশনটি যদি সফল ভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট লান্ডিং করতে পারে তাহলে ভারত হবে পৃথিবীর প্রথম দেশ যে কীনা চাঁদের এমন একটা জায়গায় চন্দ্রযান 3 কে অবতরণ করতে চলেছে যেখানে আর আগে কোনও দেশ পৌছানোর চেষ্টা করিনি। ফলে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মরু সম্পর্কে এমন সব তথ্য দিতে পারবে যেগুলি  এর আগে কেও দিতে পারিনি।

নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল চন্দ্রযান 3 সম্পর্কে আপনাদের মনের সমস্ত রকমের কোয়েশ্চান ও তার উত্তর। পুরো বিষয়টি যদি আধ্যায়ন করেন তাহলে চন্দ্রযান 3 সম্পর্কে আর কোনও প্রকার প্রশ্ন থাকবেনা।

চন্দ্রযান 3 কিভাবে রিসার্চ করবে ও সেখানকার ফটো কিভাবে পৃথিবীতে পাঠাবে?

চন্দ্রযান 3 মিশনটি একটি ইন্টারেস্টিং বিষয় নয় এটি কিন্তু একটি রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। কারণ চাঁদের বুকে সফট লান্ডিং করানো মঙ্গলের বুকে সফট লান্ডিং করানোর থেকে অনেক কঠিন। মঙ্গলে কোনও একটি Space Craft পাঠাতে সময় লাগে 7 মাস সেখানে চাঁদে একটি Space Craft পাঠাতে সময় লাগে 3 দিন। সুতরাং চাঁদে Space Craft  পাঠানোর সময় Space Craft টি যদি তার কক্ষ পথ থেকে একটু সরে যায় তাহলে তাকে সেই কক্ষ পথে আনা খুবই কঠিন। কারণ চাঁদের ক্ষত্রে সময় খুবই কম তাই তাকে সঠিক স্থানে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। 

শুধু কক্ষ পথই শেষ নয়, চন্দ্রযানটি যখন চাঁদের কাছে আসবে তখন চাঁদের মধ্যআকর্ষণ শক্তি Space Craft টিকে চাঁদের দিকে আকর্ষণ করবে। এই সময় চন্দ্রযানটিকে যদি কোনও একটি গতি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে রাখার জন্য চন্দ্রযানে লাগানো থাকে Thurster  নামক যন্ত্র লাগানো হয় , নয়তো চন্দ্রযানটি চাঁদের মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়বে।

Thurster কী?

Thurster হল এমন একটি যন্ত্র যার জন্য চন্দ্রযানটি চাঁদের মধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতে থাকে। অর্থাৎ চন্দ্রযানটি যখন চাঁদের মাটিতে  ল্যান্ড করবে তখন চন্দ্রযানটি যেন চাঁদের মধ্যাকর্ষণ শক্তির ফলে চাঁদের মাটিতে মুখথুবড়ে না পড়ে সেই জন্য Thurster এর পিছুন দিয়ে আগুন বেরিয়ে চন্দ্রযানটিকে অপরের দিকে চাপ সৃষ্টি করে থাকবে। ফলে চন্দ্রযানটিকে চাঁদের মাটিতে ধীরে ধীরে সফট লান্ডিং করানো সম্ভব হবে। অর্থাৎ Thurster চাঁদের মধ্যাকর্ষণ শক্তিকে সম্পর্ন রূপে ব্যালান্স করবে এবং ধীরে ধীরে সফট লান্ডিং করবে।

সফট লান্ডিং করানোর জন্য Parasute ব্য়াবহার না করে Thurster করা হয় কেন?

সফট লান্ডিং করানোর জন্য Parasute ব্য়াবহার না করে ঠুরসতের ব্য়াবহার করাহয়ে থাকে কারণ আপনারা সকলেই জানেন যে চাঁদে বাতাস নেই ফলে সেখানে Parasute ব্য়াবহার করা সম্ভব নয়। Parasute বাতাসের কারণে আকাশে উড়ে এবং আপনার মন মতো ধীরে ধীরে নিচে নামতে থাকে। চাঁদে বাতাস নেই ফলে Parasute ব্য়াবহার করা সম্ভব নয় সেই জন্য Thurster এর মাধ্যমে পিছুন দিয়ে আগুন বের করে উপরের দিকে চাপ সৃষ্টি করা হয়।

চন্দ্রযান 3 ল্যান্ড করার সময় কী কী সমস্যার সন্মুখীন হতে পারে?

চন্দ্র যান 3 ল্যান্ড করার সময় যে সকল সমস্যার সামনে পড়তে পারে সেগুলি নিচে আলোচনা করা হল।

* Thurstar এর জন্য সমস্যা:- চন্দ্রযান 3 যখন চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে তখন হেবি পাওয়ারফুল এই Thurstar  এর পিছুন দিক থেকে প্রচন্ড পরিমাণে বাযু ও আগুন ছাড়বে যার কারণে চাঁদপৃষ্ট থেকে ধুলোবালি উড়ে চন্দ্রযানের প্রতিটা সেনসারকে নষ্ট করে দিতে পরে।

* লান্ডিং স্পেস এর জন্য সমস্যা:- চাঁদের মাটি সমতল না থাকার কারণে সেখানে লান্ডিং করানো খুবই কঠিন। চন্দ্রযান 3 চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ড করবে সেখানে ঘন অন্ধকার এবং সেখানে অনেক বড় বড় গর্ত রয়েছে ও সেখান কার তাপমাত্রা - 230 ডিগ্রি C রয়েছে যার কারণে ল্যান্ডিং এর জন্য সঠিক স্থান খুজে পাওয়া খুব কঠিন।

* তাপমাত্রার জন্য সমস্যা:- চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যেখানে সূর্যের আলো পাইনা ফলে সেখানকার তাপমাত্রা সর্বদা - 230 ডিগ্রি C হয়ে থাকে। দক্ষিণ মেরুতে অনেক কম তাপমাত্রা থাকার কারণে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে আশা চন্দ্রযান 3 স্পেস ক্রাফ্ট টি গরম হয়ে থাকে। ফলে যখন চন্দ্রযান 3 স্পেস ক্রাফ্ট টি চাঁদের - 230 তাপমাত্রায় আসে তখন সেই ল্যান্ডারটি ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে পারে। 

যেমন একটি ঠান্ডা কাঁচের পাত্রে যদি হটাৎ করে গরম জল ডালা হয় তাহলে দেখবেন যে কাঁচের পত্রটি  ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। ঠিক একই ভাবে চন্দ্রযান 3 যখন চাঁদের মাটিতে অবতরণ করবে সেই সময় এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

* যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার সমস্যা:- চাঁদের দক্ষিণ অংশে সূর্যের আলো পড়েনা ফলে সবসময় অন্ধকার থাকার কারণে সেখানে যখন চন্দ্রযান 3 পৌঁছবে তখন সেখানে অন্ধকার রাত্রি থাকার কারণে সোলার প্যানেল কজ করতে পারবেনা। সূর্যের আলো না থাকলে সোলার প্যানেল কাজ করতে পারবেনা  ফলে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

আপনারা নিশ্চয়ই বুজতে পারবেন যে চন্দ্রযান 3 চাঁদের বুকে অবতরণ করতে কত রকমের সমস্যার সামনে হতে হবে। তবে এত গুলি সমস্যা থাকলেও চন্দ্রযান 3 কে চাঁদের মাটিতে সফট লান্ডিং করানোর জন্য ISRO (Indian Space Research Organisation) অনেক নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্য়াবহার করা হয়েছে। সুতরাং এবার চন্দ্রযান 3 চাঁদের মাটিতে সফল ভাবে ল্যান্ড করানোর জন্য বিভিন্ন রকমের প্রচেষ্টা করা হয়েছে।

উপরিউক্ত অনেক সমস্যা থাকা সত্তেও চন্দ্রযান 3 সফল ভাবে ল্যান্ড করবে চাঁদের মাটিতে তার কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন- 

প্রথমত- ISRO চন্দ্রযান 3 কে ল্যান্ড করার জন্য চাঁদের দক্ষিণ অংশে এমন একটি স্থান বেছে নিয়েছে যেখানে তাপমাত্রা অনন্য স্থানের তুলনায় কম ও সেখানে গর্ত অন্য স্থানের তুলনায় অনেক কম। আগের চন্দ্রযান 2 এর স্থানের থেকে এবার চন্দ্রযান 3 এর স্থানটি অনেক অংশে ভাল।

দ্বিতীয়- 14 July 2023 চন্দ্রযান 3 রকেট টিকে লঞ্চ করা হয়। এই রকেটটি 5 বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে মাক্সিমান গতিশক্তি প্রাপ্ত করে চাঁদের মধ্যাকর্ষণ শক্তির মধ্যে প্রবেশ করবে। রকেটটি 5 বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে মাক্সিমান গতিশক্তি বাড়িয়ে নেওয়ার ফলে রকেট এর ফিউল কিন্তু কম পরিমাণে ফুরবে। অতিরিক্ত যে ফিউলটি বচবে সেই ফিউল চন্দ্রযানটিকে ল্যান্ড করার সময় Tharster এর কাছে ব্য়াবহার করা হবে যাতে ল্যান্ডার টিকে সফট লান্ডিং করানো সম্ভব হয়।

তৃতীয়- যখন লান্ডিংএর সময় হবে সেই সময়ের জন্যও ISRO একটি Unique প্ল্যান করে রেখেছে চন্দ্রযান 3 চাঁদের বুকে সরাসরি ল্যান্ড করবেনা কারণ সরাসরি ল্যান্ড করলে Threster এর প্রভাবে যে ধুলোবালি উড়বে তাতে সেনসার গুলি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেই জন্য চাঁদে ল্যান্ড করার আগে চাঁদকে কয়েক বার প্রদক্ষিণ করে নিবে যাতে সঠিক স্থানটি খুজতে পারে ও সফট লান্ডিং করতে পারে।

চতুর্থ- যোগাযোগ ব্য়াবস্থা যদি বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায় সেই জন্য একটি রোভার ব্য়াবহার করা হয়েছে। চাঁদের মাটি পর্যবেক্ষণ করার জন্য ল্যান্ডার কিন্তু নিজে ঘুরবেনা এর জন্য ল্যান্ডার থেকে রোভার বেরহয়ে সেটা নেযেই পর্যবেক্ষণ করবে। ফলে ল্যান্ডার রোদে দাড়িয়ে থাকবে, রোদে থাকার কারণে সৌরপ্যানেল ভাল ভাবে কাজ করবে।

সৌরপ্যানেল ভাল কাজ করলে ইলেক্ট্রিক উৎপাদন করবে এবং পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সক্ষম হবে। ল্যান্ডার থেকে রোভার বেরিয়ে এসে তার সেনসারের মাধ্যমে চাঁদের মাটি জল ও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে পরীক্ষা নিরীক্ষা বিভিন্ন তথ্য  রোভার থেকে ল্যান্ডারে এবং ল্যান্ডার থেকে ISRO এর হেড কুয়াটারে পাঠানো হবে। ফলে ল্যান্ডারটি এক স্থানে দাড়িয়ে থাকবে এবং রোভার চাঁদের দক্ষিণ মেরুর বিভিন্ন তথ্য ISRO এর হেড কয়াটারে পাঠাতে থাকবে।

কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেন চাঁদে চন্দ্রযান 3 পাঠানো হয়?

আপনারা সকলেই জানেন কোটি কোটি টাকা খরচ করে ল্যান্ডার টিকে চাঁদে পাঠানো হচ্ছে কিন্তু আত টাকা খরচ করে চাঁদে রকেট পাঠিয়ে ISRO বা ভারতের কী লাভ হবে এই বিষয় নিয়ে হয়তো আপনাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে। এই বিষয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। 

দেখুন সাধারণ  ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় যে কোটি কোটি টাকা খরচ করে যে চন্দ্রযান মিশনটি করা হচ্ছে সেটা প্রকৃত পক্ষে ভারতের লাভের জন্য করা হচ্ছে। যেমন- 

প্রথমত- চন্দ্রযান 3 টিকে যদি আমরা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ড করতে সক্ষম হয় তাহলে সেখান থেকে আমরা এমন কিছু তথ্য পাব যেগুলি চাঁদ এবং পৃথিবী সৃষ্টির রহস্য সম্পর্কে জানতে পারবে। যার ফলে সায়েন্স ও টেকনলজিতে ভারতের সুনাম অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে।

দ্বিতীয়ত- চাঁদে যদি জলের অস্তিত্ব খুজে পায় ভারত, যেটা খুজে পাওয়ার অনেক সম্ভবনা রয়েছে। সেক্ষত্রে চাঁদে উপনিবেশ গড়ার ক্ষেত্রে ভারত অনন্য দেশের সাতে অনেক অংশে এগিয়ে থাকবে।

তৃতীয়ত- যেটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ সেটি হল এই চন্দ্রযান 3 মিশনটি যদি সফল ভাবে সফট লান্ডিং করতে পারে তাহলে ভারত পৃথিবীর মধ্যে চতুর্থ দেশ বলে গণ্য হবে।

অন্য দিকে ভারতের চন্দ্রযান 3 রকেট টি চাঁদের এমন এক স্থানে অবতরণ করবে যেখানে কেও এর আগে অবতরণ করেনি সেদিক থেকে ভারত প্রথম দেশ হিসাবে গণ্য হবে ভারত। অর্থাৎ চাঁদের দক্ষিণ অংশে যেখানে সবসময় অন্ধকার থাকে এবং অনেক গর্তে ভরা সেই স্থানে এর আগে কোনও দেশ রকেট পাঠাইনি। সুতরাং এই মিশনটি যদি সফল হয় তাহলে ভারত প্রথম দেশ হবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে।

ভারতের পার্ষবর্তী অনেক দেশ আছে যারা ভারতের রকেট লঞ্চার থেকে রকেট লঞ্চ করে। সেখান থেকে ভারত একটি মোটা অঙ্কের টাকা পেয়ে থাকেন। চন্দ্রযান 3 রকেটটি যদি সঠিক ভাবে সফট লান্ডিং করতে পারে তাহলে স্পেস ব্য়াবসায় ও টেকনোলজিতে ভারত এক উচ্চ স্থান অধিকার করবে যেটা বর্তমানে আমেরিকার দখলে। পার্ষবর্তী দেশ গুলি যে পরিমাণে এখন আসে রকেট লঞ্চ করার জন্য, এই মিশনটি যদি সফল হয় তাহলে আরও অনেক পরিমাণে কাজ পাবে এবং বিশ্বাস যোগ্য হয় উঠবে ভারত। ফলে ভারতে অর্থনীতিক উন্নয়ন ঘটবে। 

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কেন অনুসন্ধান চালাবে চন্দ্রযান-3 (Chandro Jan 3)

চাঁদের চিত্র লক্ষ করলে আপনারা দেখতে পাবেন সেখানে অনেক বড় বড় গর্ত রয়েছে। এছাড়াও দক্ষিণ মেরুতে অনেক পরিমাণে মেটাল রয়েছে এবং সেখানকার লোকাল গ্রাবেটি সম্পর্ন আলাদা। গ্রাবেটি মানে, দেখবেন চন্দ্রযান যখন নামতে যাবে তখন সেখানে অন্য বল কাজ করবেন। এখানে যেমন পৃথিবীর অভিকর্ষ বল কাজ করে কিন্তু চাঁদে অভিকর্ষ টান খুবই কম এবং সেখানে এক এক জায়গায় এক এক রকমের গ্রাবেটি দেখতে পাওয়া যায়। ফলে সব স্থানে একই রকম বল থাকেনা।

চাঁদে বিভিন্ন স্থানের অভিকর্ষ বল ভিন্ন ধরনের সেই জন্য সেখানে সফট লান্ডিং করা খুবেই কঠিন কাজ। গ্রাবেটি ভিন্ন থাকার কারণে সেখানে ল্যান্ড করার জন্য বিভিন্ন সাবধান অবলম্বন করতে হয়। গ্রাবেটি সম্পর্ন নির্ভর করে ডেন্সিটির ওপরে।

আমেরিকাও ভারতবর্ষের এই দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান 3 অবতরণের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কারণ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট লান্ডিং করা খুবই অসম্ভব। কারণ সেখানে অনেক গর্ত দেখতে পাওয়া যায় এবং সব গর্তে জলে ভর্তি সেই জন্য সেখানে প্রাণের সম্ভবনা রয়েছে কী না সেই বিষয়ে খোজ করা।

সায়েন্স এর নজরে চাঁদে জল, মাটি, এবং অনেক বড় বড় গর্ত রয়েছে। এছাড়ও বিভিন্ন ধর্মের মানুষেরা এই চাঁদকে বিভিন্ন নজরে দেখেছে। শায়রীতেও এর অবদান কম নয়, চাঁদ কে নিয়ে অনেক শায়রী লেখা হয়েছে। কিন্তু চাঁদে যাওয়ার জন্য এত বাস্তটা কেন। দুনিয়া এই চাঁদ থেকে কী পেতে চাই।

আমেরিকা চাঁদে মানুষ নামিয়েছে এছাড়ও রাশিয়া ও চীন চাঁদের অন্তরীক্ষজান পাঠিয়েছে কিন্তু তবুও এর অনেক রহস্য অজানা রয়েছে।

চন্দ্রযান 3 চাঁদে পাঠানোর উদ্দেশ্য গুলির মধ্যে একটি বিশেষ উদ্দেশ্য হল ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব সম্পর্কে খোজ করা। চাঁদে এমন একটি টেকনিক ব্য়াবহার করা হবে যে সেখান থেকে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আছে না নেই যেমন বোঝা যাবে তেমন আরও অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কী নাই সেই টেকনিক এর মাধ্যমে বোঝা যাবে। সোজাভাবে বলতে গেলে বলতে হয় ভিনগ্রহীদের অবস্থান সম্পর্কে খোজ করা।
Previous Post Next Post