পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে জনপ্রিয় প্রকল্প লাক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা 500 ও 1000 টাকা করে পেয়ে থাকে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভায় সকলকে লক্ষীর ভান্ডার SC/ST/OBC সবাই পাবে 1000 টাকা করে দেওয়ার জন্য দাবি উঠেছে। এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে বিশাল তোলপাড় হয়ে উঠেছে। তাহলে কী এবার থেকে সবাই পাবে 1000 টাকা করে না যেভাবে পাচ্ছে সেইবাবে পাবে। তবে বর্তমানে লাক্ষীর ভান্ডার নিয়ে কী আপডেট দেওয়া হয়েছে সেইবিষয়ে আলোচনা করব।
লক্ষীর ভান্ডার SC/ST/OBC সবাই পাবে 1000 টাকা করে
আপনারা সকলে জানেন লাক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের তপশিলি জাতি, উপজাতির সকল মহিলারা 1000 টাকা এবং জেনারেল ও সংখালঘু মহিলারা 500 টাকা করে প্রতি মাসে পেয়ে থাকে। কিন্তু একই রাজ্যর কিছু সংখক মহিলা 1000 টাকা ও কিছু সংখক মহিলা 500 টাকা পাবে এটা সকলের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে রাজ্য রাজনীতিতে বিশেষ তোলপাড় দেখা গিয়েছে।
ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির জানান সকল মহিলাকেই সময় পরিমাণ টাকা দেওয়ার দাবি করে সংসদ ভবনে। সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে নির্ভর করে লক্ষীভান্ডার টাকা দেওয়া ঠিক হচ্ছেনা। সমস্ত সম্প্রদায়ের মহিলাদেরকে সময়পরিমাণ টাকা দেওয়া দরকার।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা রাজ্যের সব শ্রেণীর মহিলাকে সমান নজরে দেখেন। বিধানসভা অধিবেশনে হুমায়ুন জানতে চান মুসলিম মহিলাদের সম্পর্কিত এক প্রশ্ন। তপশিলি ও উপজাতি মহিলাদের মতো মুসলিম মহিলাদেরকে লক্ষীভান্ডারের 1000 টাকা দেওয়া যায় কী না! এমন প্রশ্ন শুনে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী বলেন, "ধর্মীয় ভাবে এটা করা হয়না। এটা অর্থনীতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে।
লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পটি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপনের প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যর প্রায় 1 কোটি 98 লক্ষ 37 হাজার 33 জন মহিলা উপভোক্তা সুবিধা লাভ করে থাকে। আলোচনা চলাকালীন হুমায়নের মতবাদ অনুযায়ী বোঝাযায় এখনকার পরিস্থিতি অনুযায়ী মুসলিম মেয়েদের অবস্থা খুব খারাপ। তার মতে 1 শতাংশ চাকুরিজীবি ও 35 শতাংশ কৃষিজবী সঙ্গে যুক্ত ও বাকি মহিলারা সত্যিই পিছিয়ে রয়েছে।
তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির জানান তিনি পঞ্চায়েত ভোট প্রচার করতে গিয়ে নিজের চোখে যে বাস্তব চিত্র দেখেছেন সেই অভিজ্ঞতার কথা তিনি তুলে ধরেছেন। ভোট প্রচার করতে গিয়ে তাকে বিভিন্ন স্থানে এই প্রশ্নের সামনে হতে হয়েছে যে "আমরা পাচ্ছি 500 টাকা আর ওরা অর্থাৎ তপশিলি জাতি ও উপজাতি পাচ্ছে 1000 টাকা"। এই মন্তব্য করায় তাকে বলেন যে, "উনি অন্য কোনও দল থেকে রাজনীতিক বাখ্যা শুনে থাকতে পারেন।
লক্ষী ভান্ডারের টাকা কোনও রাজনীতিক দিল হিসাবে বা বর্ণ ভেদে দেওয়া হয় না এটি একটি নির্দিষ্ট মাপকাঠি অনুযায়ী দেওয়া হয়। তবে হুমায়ুন এই মন্তব্য করায় তার পক্ষে অনেকে অনেক প্রকার মন্তব্য করেন।
অধিবেশন চলাকালীন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস হুমায়ুনের বক্তব্য শেষ হলেই তাকে অধিবেশন কক্ষের বাইরে ডাকা হয়। সেখানে ডাকা হয় ফিরহাদ হাকিম ও মুখ্য সুচেতক নির্মল ঘোষ, এবং তাপস রায়কেও। সেখানে তাদের মতামত পোষণ করেন। সেখানে মন্ত্রী অরূপ হুমায়ুন কে প্রশ্ন করেন আপনি আগের প্রাক্তন মন্ত্রী আপনি কিভাবে লক্ষী ভান্ডারের মতো জনকল্যাণকারি এইরকম কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এই বিষয়ে তাদের মধ্যে অনেক কথা হয়েছে।
তবে লক্ষী ভান্ডারের যে সকল মহিলারা 500 টাকা করে পেয়ে থাকেন তারা সকলে আগস্ট মাস থেকে 1000 টাকা করে পাবেন মমতা ঘোষণা করেন। অর্থাৎ জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে সকলেই সমান পরিমাণে 1000 টাকা করে লক্ষী ভান্ডারের তাদের ব্যাংক এককউন্টে ঢুকবে।
লক্ষী ভান্ডারের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান। ক্লিক করুন
লক্ষী ভান্ডারের নতুন 7 টি নিয়ম না জানলে টাকা পাবেন না কী কী নিয়ম জানুন - ক্লিক করুন
আপনারা যদি লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে আবেদন করে থাকেন তাহলে কোনও প্রকার সমস্যা হয়ে থাকলে কিভাবে ঠিক করবেন উপরে দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন তাহলে জানতে পারবেন। এছাড় আরও কিছু জানতে হলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন।